গাভী
নির্বাচনে করণীয় বিষয়সমুহ
বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী ভাল ও উন্নত জাতের গাভী নির্বাচন করতে
হবে
দেশীয় ভাল ও উন্নত জাতগুলো হচ্ছে; রেড চিটাগাং গাভী, পাবনার দুধালো
গাভী,
মুন্সিগঞ্জের সাদা গাভী ও উত্তর বঙ্গের ধূসর গাভী
রেড চিটাগাং গাভী (চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম)
মুন্সিগঞ্জ (মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ) ও
ধূসর গাভী (রাজশাহী, রংপুর)
জাতীয় দুগ্ধ উন্নয়ন নীতিমালা, ২০১৬ তে উপর্যুক্ত গাভী পালনের নীতি
নির্ধারিত
হয়েছে
অধিক উৎপাদনশীল সংকর জাতের গাভী পাওয়া গেলে তা দিয়েও ডেয়রি ফার্ম করা
যাবে
গাভীর দেহের আকার ও ওলানের আকার বড় হলে দুধ উৎপাদনের পরিমানও বেশি
হবে
গাভীর বয়স ও বাচ্চা প্রসবের সাথেও দুধ উৎপাদনের সম্পর্ক রয়েছে
সাধারণত তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ বাচ্চা প্রসবের সময়কালে গাভী সর্বোচ্চ দুধ
দেয়
মূলত ১ম প্রসবের পর থেকে দুধ উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বেড়ে ৫ম প্রসবের পর
সর্বোচ্চ
পর্যায়ে পৌছায়
আবার ষষ্ঠ প্রসবের পর থেকে দশম প্রসব পযন্ত দুধ উৎপাদন সাধারণত আগের
তুলনায়
কমে যায়
শারীরিক অসুস্থতা বা রোগব্যাধি রয়েছে এমন গাভী খামার শুরুর সময় সংগ্রহ
করা
যাবে না
গাভী সংগ্রহের সময় অবশ্যই গাভীর সঠিক বয়স ও স্বাস্থ্য, বয়স অনুযায়ী
বাচ্চা
প্রদান, শারীরিক অবস্থা, দুধ উৎপাদনের ক্ষমতা (সম্ভব হলে পূর্বপুরুষের ইতিহাস) ইত্যাদির সঠিক
তথ্য যাচাই
করে নিতে হবে
অধিক উৎপাদনশীল গাভীর দৈহিক বৈশিষ্ট্য
সুঠাম পা ও দু’পায়ের মাঝে যথেষ্ট ফাঁকা
ফাঁকা ফাঁকা হাড়ের প্রশস্ত বুক
বড় ও দেহের সাথে লেগে থাকা ওলান, দূর থেকে দৃশ্যমান ওলানের
শিরা
মেদহীন ঢিলে চামড়ার শরীর ইত্যাদি
মহিষের ক্ষেত্রে দেশীয় মহিষের মধ্যে ‘নদীর মহিষ’ অধিক দুধ উৎপাদনে
সক্ষম
এছাড়া ‘মুররাহ বা নিলি রাভীর সংকর’ বা ‘গুজরাটি’ সংকর গাভী সাধারণত
অধিক দুধ
উৎপাদন করে