বাচ্চার যত্নে
প্রতি লিটার পানিতে গ্লুকোজ ২৫ গ্রাম, ভিটামিন সি ১ গ্রাম ও
অন্যান্য পানিতে দ্রবনীয় ভিটামিন ১ গ্রাম এর মিশ্রণ তৈরি করে
বাচ্চাকে প্রথম এক ঘন্টা খাওয়াতে হবে
প্রথম এক ঘন্টা পানিতে কোন ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না
এক ঘন্টা পর বাচ্চাকে খাবার সরবরাহ করতে হবে। প্রথমে ভুট্টা
ভাঙ্গা দেয়া ভাল
পানিতে ৩ পি পি এম ক্লোরিন ব্যবহার করতে হবে। তবে ভ্যাক্সিন
বা ঔষধ পানিতে খাওয়ানোর সময় ক্লোরিন মিশ্রিত পানি ব্যবহার করা
যাবে না
প্রথম দিকে খাবার পানির তাপমাত্রা ২০-৩০° সেঃ এর মধ্যে রাখতে
হবে
প্রথম অবস্থায় প্রতি ৫০ টি বাচ্চার জন্য এক লিটারের একটি চিক
ড্রিংকার দিতে হবে। ৮-১০ দিন পর নিপল ড্রিংকার দিতে হবে
প্রথম অবস্থায় প্রতি ৩০ টি বাচ্চার জন্য একটি ফিডার দিতে হবে।
পরবর্তীতে জায়গা বাড়ার সাথে সাথে ফিডারের সংখ্যা বাড়াতে
হবে
বয়ষ অনুসারে পানি সরবরাহ
বাচ্চা মুরগিকে পানি সরবরাহ
খাদ্য তৈরি ও সরবরাহ প্রক্রিয়া
প্রথম দুই সপ্তাহ খাবার শেষ হওয়ার আগেই বারংবার খাবার সরবরাহ
করতে হবে
চার সপ্তাহ অব্দি দৈনিক ৩-৪ বার খাবার সরবরাহ করতে হবে। এরপর
৪-৮ সপ্তাহ দিনে ২ বার খাবার দিলেই চলবে
পরবর্তীতে প্রতিদিন তিনবার পরিমিত পরিমান খাদ্য সরবরাহ করতে
হবে এবং সাধারন ড্রিংকার হলে কমপক্ষে ৪ বার পানি প্রদান করতে
হবে
খাবার সরবরাহ
পানি সরবরাহ
খাবার ওজন করে সরবরাহ
খাচা পদ্ধতিতে খাবার সরবরাহ
খাদ্যের হিসাব
মাংসল মুরগির ক্ষেত্রে
হিলি জাতের মুরগি ৮ সপ্তাহ বা ২ মাসে ওজন হয় ৬০০-৭২০ গ্রাম
(প্রতিদিন ১০-১২ গ্রাম করে ওজন বাড়ে)। বাজারে এই ওজনের মুরগির
চাহিদা খুবই বেশি এবং প্রতিটি মুরগি ৩০০ টাকার বেশি দরে বিক্রি
করা সম্ভব
এই সময়ে একটি মুরগি গড়ে ১.৫ থেকে ১.৭ কেজি খাবার খায়
(প্রতিদিন ২৫-২৮ গ্রাম করে)। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৫০-৬০
টাকা
অর্থাৎ ১০০ টি মুরগি পালন করলে প্রতিমাসে ৭৫-৮৪ কেজি হারে ২
মাসের খাদ্য সরবরাহের জন্য ১৫০-১৬৮ কেজি খাবারের ব্যবস্থা
রাখতে হবে
ডিম পাড়া মুরগির ক্ষেত্রে
গলাছিলা মুরগি বছরে ১৭০-১৮০ টি এবং সাধারণ দেশি মুরগি বছরে
১৫০-১৬০ টি ডিম পাড়ে
এই সময়ে প্রত্যেকটি মুরগি মোট প্রায় ৩৮ থেকে ৪০ কেজি খাবার
খাবে (প্রতিদিন ৭৫-৮০ গ্রাম করে)। খাদ্যের মূল্য প্রতি কেজি
৩০-৩৩ টাকা দরে মোট খাদ্য খরচ পড়বে ১১৫০-১২৫০ টাকা প্রায়
অর্থাৎ, ৭২ সপ্তাহ পালন করলে ১০০ টি মুরগির জন্য ৩৮০০-৪০০০
কেজি খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হবে