খামারগুরু

  • দেশী মুরগির জাত চেনা
  • বানিজ্যিক খামার নির্মাণে করণীয়
  • আলোক ব্যবস্থাপনা
  • বাচ্চা সংগ্রহ ও পরিবহন
  • বাচ্চা পালনে করনীয়
  • রেশন ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে উপযুক্ত খাদ্য তৈরি
  • খাদ্য ও পানি ব্যবস্থাপনা
  • মুরগির প্রধান প্রধান রোগ
  • টিকাদান কর্মসূচি
  • আনুষঙ্গিক

Rigg Technology © All rights reserved

  • মহিষ
  • গরু
  • দুগ্ধ খামার
  • ছাগল
  • মুরগি
বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ থেকে বেঁচে থাকার উপায়
খামারে প্রবেশ করে সকল ব্যক্তি বা দর্শনার্থীকে খামারের জন্য নির্দিষ্ট জুতা ও কাপড় পরে জীবানুনাশক দ্রবনে হাত-পা ধূয়ে খামারে প্রবেশ করতে হবে
সপ্তাহে একদিন খামারের বেড়া, মাচা ও আশেপাশে জীবানুনাশক স্প্রে করতে হবে
মুরগির বিষ্ঠা প্রতিদিন পরিস্কার করতে হবে
মৃত মুরগি দ্রুত খামার থেকে সরিয়ে চুল্লিতে পুড়িয়ে ফেলতে হবে অথবা গভীর গর্ত করে পুঁতে ফেলতে হবে
অসুস্থ মুরগিকে খামার থেকে ছাটাই করতে হবে
ছাটাই না করলে অসুস্থ মুরগিকে আলাদা ঘরে আলাদা লোকের মাধ্যমে পরিচর্যা করতে হবে ও উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে হবে
খামারের আশেপাশের মাটি ৩/৪ মাস পরপর উলটপালট করে দিতে হবে অথবা ঐ স্থানে নতুন মাটি ফেলতে হবে
খাদ্য পরিচ্ছন্ন পরিবেশে সংরক্ষণ করতে হবে এবং মাইকোটক্সিন যুক্ত খাবার মুরগিকে খাওয়ানো যাবে না
খাবার ও পানির পাত্র নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে এবং খাবার ও পানির পাত্রে মুরগি যাতে পায়খানা না করে সে ব্যবস্থা করতে হবে
খামার ও মুরগির খাদ্যকে ইদুর, বিড়াল বা অন্য যে কোন প্রানী বা কীটপতঙ্গ থেকে নিরাপদ রাখতে হবে
মুরগির ঠোঁট কাটা
ঠোঁট কাটার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে ৮-১০ দিন বয়সে (২-৪ মিলি মি:) মেশিনের সাহায্যে হালকা ছ্যাকা দেয়া
অথবা, ১০-১২ সপ্তাহে নাকের ছিদ্র হতে ২ মিমি সামনে উপরের ঠোটের ১/৩ অংশ কেটে দিতে হয়। নিচের ঠোট উপেরের ঠোঁটের চেয়ে কম কাটতে হয়
অভিজ্ঞ লোক ও ভালো মেশিন (যে মেশিনের ব্লেড ৮১৫° সে: তাপমাত্রায় গরম হয়ে লাল হয়) দ্বারা দিনের ঠান্ডা সময়ে ঠোঁট কাটতে হয়
ঠোঁট কাটার ১-২ দিন পূর্বে কিছু জীবানুনাশক প্রতিষেধক ও ভিটামিন কে মিশ্রিত পানি সরবরাহ করতে হয়
ঠোঁট কাটার পরে ৩ দিন অব্দি কিছু ইলেকট্রোলাইট ও ভিটামিন সি মিশ্রিত পানি সরবরাহ করতে হয়। এছাড়া মাল্টিভিটামিন বা ডব্লিউ-এসও দেয়া যেতে পারে
অসুস্থ বাচ্চা বা মুরগি/ ডিম পাড়া মুরগি/ টিকা দেয়ার ২ দিন আগে-পরে ঠোঁট কাটা উচিৎ নয়। কম উত্তপ্ত (৭০০° সে: এর নিচে) বা ভোতা ব্লেড দিয়েও ঠোঁট কাটা উচিৎ নয়
ঠোঁট কাটার পর অতিরিক্ত আমিষ সমৃদ্ধ খাদ্য বেশি পরিমানে বার বার মুরগিকে সরবরাহ করতে হয়
ঠোঁট কাটার সময় মুরগি বা বাচ্চার ছোটাছুটি বা একস্থানে জমা হয়ে ধাক্কাধাক্কি করে একে উপরের উপর উঠে যাওয়া ইত্যাদি রোধ করে স্থিতিশীল, স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে হয়
ডিম উৎপাদন ও খাদ্য গ্রহণ কমে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার
কারণ প্রতিকার
ডিমের ৭০ ভাগেই পানি, তাই পানি সরবরাহ কম হলে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করা
রোগাক্রান্ত, পায়ে উকুন বা পেটে কৃমি হলে প্রতিষেধক দেয়া, উকুননাশক ব্যবহার করা এবং ২-৩ মাস পরপর খাদ্য ও পানির সাথে কৃমিনাশক দেয়া
হঠাৎ জায়গা বা ঘরের আলোর পরিবর্তণ হলেী ডিমপাড়া শুরু হলে জায়গা পরিবর্তন না করা ও ডিমপাড়া কালীন সময়ে সর্বদা ১৬ ঘন্টা আলো নিশ্চিত করা
আবহওয়া পরিবর্তিত হলে গরমে আবহাওয়া ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করা, ঠান্ডা পানি ও পানিতে vit-c দেয়া, পিলেট খাবার দেয়া, খাদ্য ও পানির পাত্র বাড়িয়ে দেয়া ইত্যাদি উপায় অবলম্বন করা
এছাড়া ভ্যাক্সিন প্রয়োগ বা ডিবিকিংয়ের কারনে উক্ত সময়ে ডিম উৎপাদন কমতে পারে ---