খামারগুরু

  • উপযুক্ত ছাগল নির্বাচন
  • সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন
  • ছাগলের বাসস্থান নির্মান
  • ছাগলের ওজন নির্ণয়
  • মিল (খাবার) ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে যথাযথ খাবার নির্ণয়
  • রেশন ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে উপযুক্ত খাদ্য তৈরি
  • ছাগলের খাদ্যের পরিমান নির্ণয়
  • খাদ্য ব্যবস্থাপনার আনুষঙ্গিক
  • বয়সভিত্তিক পরিচর্যা
  • ছাগলের বিভিন্ন রোগ (লক্ষণ ও চিকিৎসা)
  • টিকা ব্যস্থাপনা
  • বিক্রয়

Rigg Technology © All rights reserved

  • মহিষ
  • গরু
  • দুগ্ধ খামার
  • ছাগল
  • মুরগি

পিপিআর (PPR) : ১

লক্ষণ
ঝিম ধরে পিঠ বাকা করে দাড়িয়ে থাকা
শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি (১০৬°-১০৭° সে:)
গাঢ় বাদামী পাতলা পায়খানা। সাথে রক্ত মিশ্রিত আমাশয়
শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও নাক-মুখ-চোখ দিয়ে তিরল আসা
চিকিৎসা
নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই
উন্নত এন্টিবায়োটিক দেয়া
মুখে বা শিরায় পর‌্যাপ্ত স্যালাইন দেয়া

গোটপক্স (Goat Pox) : ২

লক্ষণ
মুকের চারপাশে, মুখ গহবরে, কানে, গলায়, দুধের বাটে ও পায়ুপথের চারপাশে বসন্তের গুপি দেকা যায়
চিকিৎসা
আক্রান্ত প্রাণীর চিকিৎসা করে লাভ নেই
প্রাথমিক অবস্থায় এন্টিবায়োটিক দিলে মৃত্যুহার কমে
আক্রান্ত প্রাণীকে আলাদা করে ফেলতে হবে এবং অন্য সকল সুস্থ প্রাণীকে এন্টিপক্সিয়াম ইনজেকশন দিতে হবে

ক্ষুরারোগ (FMD) : ৩

লক্ষণ

জ্বর হয়, লালা পড়ে ও ছাগলকে খুড়িয়ে হাটতে দেখা যাবে
মুখে ও পায়ের দুই পায়ের মাঝে ফোসকা পড়ে এবং তা গলে লাল ঘা হয়
চিকিৎসা
গরম পানিতে ফিটকিরি/পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট/সোডা গুলে মুখ ও পায়ের ঘা ধুয়ে দিতে হবে। অথবা
ঘা তাড়াতাড়ি শুকাতে সিবাজল বা সালফানিলামাইড পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে

আক্রান্ত ছাগলের মলমুত্র গর্ত করে পুতে ফেলতে হবে।


একথাইমা : ৪

এটি একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ।

লক্ষণ
প্রথমে ঠোটের কোনায় ঘা হয়, পরে ঘা ঠোটের চারদিকে ছড়িঢে পড়ে
দুই ক্ষুরের মাঝে ঘা হয় এবং ছাগল খোড়ায়
মখের ভিতরে এবং চোয়ালে ফুল কপির মতো টিউমার হয়
চিকিৎসা
এ রোগের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই
ব্যাকটেরিঢার সংক্রমন ঠেকানোর জন্য ঘা ফিটকিরি দিঢে ধুয়ে এন্টিবায়োটিক দিতে হবে
আক্রান্ত জায়গায় প্রতিদিন একবার মিথাইলিন ব্লু/ কৃস্টাল ভায়োলেট (২% মিথানল দ্রবণে) ব্যবহার করা ভালো

বর্ডার ডিজিজ : ৫

এটি একটি ভাইরিাসঘটিত জন্মগত রোগ।

লক্ষণ
কম ওজনের বাচ্চা প্রসব করা ও মাতৃগর্ভে বাচ্চার মৃত্যু
বাচ্চার অঙ্গ বিকৃত হওয়া
বাচ্চার গায়ে বাদামী বা কালো রংয়ের অস্বাভাবিক লম্বা পশম হওয়া

এন্টারোটক্সিমিয়া : ৬

লক্ষণ
অতি তীব্র প্রকৃতি: মাটিতে পড়ে খিচুনি দিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে মৃত্যু
তীব্র প্রকৃতি: রক্ত ও মিউকিাস মিশ্রিত ডায়রিয়া। পা ছোড়াছুড়ি করা ও পায়খানার রাস্তায় প্যারালাইসিস
দীর্ঘমেয়াদী প্রকৃতি: প্রচন্ড ডায়রিয়া ও ধঅরে ধীরে শরীর শুকিয়ে যাওয়া
চিকিৎসা
হাইপার ইমিউন সিরাম (এন্টিসিরাম) দেয়া যেতে পারে
এন্টিবায়োটিক বা সালফা ড্রাগ ও ব্যাথানাশক ইনজেকশন দেয়া যেতে পারে
সিরাম স্যালাইন দেয়া যেতে পারে। তবে তাপমাত্রা বেশি হলে স্যালাইন দেয়া যাবে না

তড়কা : ৭

লক্ষণ
অতি তীব্র প্রকৃতি: উপসর্গ প্রকাশের পূর্বেই ছাগলের মৃত্যু। জ্বর, খিচুনি ও শ্বাসকষ্ট। মৃত ছাগলের বিভিন্ন স্থান দিয়ে কালচে রক্ত বের হওয়া
তীব্র প্রকৃতি: জ্বর, ক্ষুধামন্দা, নিস্তেজতা, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, পেট ফাপা, রক্ত মিশ্রিত মলত্যাগ ইত্যাদি এবং গর্ভপাত
চিকিৎসা
হাইপার ইমিউন সিরাম (এন্টিসিরাম) দেয়া যেতে পারে
এন্টিবায়োটিক দেয়া যেতে পারে

ধনুষ্টংকার : ৮

লক্ষণ
মাংশপেশী শক্ত হয় ও দাতে কপাটি লাগে
কান শক্ত হয়ে খাড়া হয় ও প্রসাব-পায়খানা বন্ধ হয়
যে কোন শব্দে ছাগল চমকে উঠে
প্রখম দিকে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে, কিন্তু শেষের দিকে তাপমাত্রা বেড়ে (১০৭° ফা:) যায়
চিকিৎসা
টিটেনাস এন্টিটক্সিন ও সহায়ক চিকিৎসা দিতে হবে
অপারেশনের পূর্বে টিটেনাস টক্সয়েড দিতে হবে

নিউমোনিয়া : ৯

লক্ষণ
অবসাদ, ক্ষুধামন্দা, জ্বর
কষ্টসাধ্য শ্বাস-প্রশ্বাস, নি:শ্বাসে ঘোঁতঘোঁত শব্দ
মাঝে মাঝে কাশি ও হঠাৎ মৃত্যু
চিকিৎসা
এন্টিবায়োটিক বা সালফোনামাইড ব্যবহার করা যেতে পারে
এন্টিহিন্টামিন দিতে হবে

ফুট রট : ১০

লক্ষণ
ক্ষুরের চারদিকে ও দুই ক্ষুরের মধ্যবর্তী স্থানে লাল হয়ে ফুলে যায়
পায়ের ক্ষতে দুর্গন্ধযুক্ত পুজ হয়
ধীরে ধীরে হাড় ও অস্থিসন্ধি আক্রান্ত হয় ও ছাগল খোড়ায়
তাপমাত্রা বেড়ে (১০৩°-১০৪° ফা:) যায় ও ক্ষুধামন্দা হয়
চিকিৎসা
ছাগলকে সপ্তাহে ১-২ বার করে কয়েক সপ্তাহ; ১০% জিন্ক সালফেট বা কপার সালফেট সল্যুশন দিয়ে তৈরি করা ফুট বাথে হাটাতে হবে
এন্টিবায়োটিক। যেমন: পেনিসিলিন, স্ট্রেপটোমাইসিন বা টেট্রাসাইক্লিন ব্যবহার করা

সালমোনেলোসিস : ১১

লক্ষণ

প্রথমে জ্বর, পরে রক্ত-মিউকাস ও দুর্গন্ধযুক্ত ডায়রিয়া
জ্বর ১০৪°-১০৭° ফা: হতে পারে ও গর্ভপাত হতে পারে
ক্ষুধামন্দা, সবিরমি ডায়রিয়া ও ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু হতে পারে
চিকিৎসা
এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে
সহায়ক চিকিৎসা হিসেবে ডায়রিয়া বন্ধে এস্ট্রিনজেস্ট এবং
ডিহাইড্রেশন রোধে জ্বরবিহীন অবস্থায় ডেক্সট্রোজ স্যালাইন দিতে হবে

ছাগলের গিড রোগ : ১২

লক্ষণ

মাথা ঘোরাতে থাকে এবং মাথা একদিকে কাত করে রাখে
মাঝে মাঝে খাদ্যগ্রহণ বন্ধ করে চিৎকার করে
অন্ধ ও অবশ হয়ে যেতে পারে
আক্রান্ত ছাগল শুকাতে থাকে
মাথার উপরের হাড় পাতলা ও নরম হয়ে যায়, যা চাপ দিঢে অনুভব করা যায়
চিকিৎসা
এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই। তবে
অপারেশন করে মস্তিস্ক তেকে সিস্ট বের করে আনলে ছাগল সুস্থ হয়

খোঁস পাঁচড়া রোগ: ১৩

উকুন, আঠালী বা মাইট ছাগলে এই রোগ সৃস্টি করে।

লক্ষণ

আক্রান্ত ন্থানের লোম পড়ে সেখানে শুস্ক বা ভেজা ক্ষত হয়
চামড়া মোটা ও খসখসে হয়ে যায়
চুলকানির কারেনে ছাগল আক্রান্ত স্থান শক্ত জায়গায় ঘসে, ফলে ক্ষতের সৃষ্টি হয়
চিকিৎসা
আইভারমেকটিন বা ভারমিক এনজেকশন দিতে হবে (প্রাত ৫০ কেজির জন্য ১ মিলি; চামড়ার নিচে)
প্রতি মাসে একবার পরজীবীনাশক ওষুধ ম্যালাথিয়ন (০.১-০.২%) বা ডায়াজিনন (০.১-০.২%) দিয়ে গোসল করাতে হবে