ছাগলের
বাচ্চার
পরিচর্যা
প্রসবের পর বাচ্চার নাভি ৩-৪ সে:মি: নিচে কাটতে হয়
জন্মের পরপরই আবশ্যিকভাবে বাচ্চাকে শালদুধ (তিন দিন) খাওয়াতে
হবে
এক মাস বয়স পর্যন্ত বাচ্চাকে দিনে ১০-১২ বার মায়ের দুধ/
গরু-মহিষের দুধ অথবা মিল্ক
রিপ্লেসার খাওয়াতে হবে। তবে কোন ক্রমেই অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানো যাবে না অন্যথায় বাচ্চার ডায়রিয়া
হবে
শীতের সময় বাচ্চাকে মায়ের সাথে উষ্ণ স্থানে (২৫-২৮° সে: এ)
রাখতে হবে
তৃতীয় সপ্তাহ থেকে বাচ্চাকে অল্প অল্প করে ঘাস খেতে অভ্যস্ত
করতে হবে
পুরুষ বাচ্চাকে ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে খাসি করাতে হবে
খাসীর
পরিচর্যা
খাসীর ৪-১২ মাস পর্যন্ত ওজন অনুযায়ী পরিমিত খাদ্য সরবরাহ করলেই
বছরান্তে এদের ওজন
হবে ২২-২৪ কেজি, এসময় এদেরকে বেচে দিন
দানাদার খাবার দিন এবং ঘাসের সংকট হলে অর্ধেক বেলা চরিয়ে ঘাস
খাওয়াতে পারেন
পর্যাপ্ত পরিস্কার পানি পানের ব্যবস্থা রাখুন
ছাগীর
পরিচর্যা
ছাগীর ওজন যখন ১২ কেজির বেশি হবে তখন ছাগীকে পাল দেওয়াবেন তার
আগে নয়
ছাগী গরম হওয়ার ১২-২৪ ঘন্টার মধ্যে পাল দিন। সম্ভব হলে ১২ তম ও
২৪ তম ঘন্টায়
দুইবার পাল দিন
প্রসবের পরবর্তী দেড় (১.৫) মাসের মধ্যে ছাগী গরম হলেও পাল দেওয়া
যাবে না
ছাগীকে পাল দেওয়ার মাস খানেকের মধ্যে ১.৫ মি:লি: ভিটামিন এ, ডি
ও ই’ ইনজেকশন এবং
বাচ্চা দেওয়ার সম্ভাব্য ১৫ দিন আগে ১ (এক) মি:লি: ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স ইনজেকশন দেয়া উচিৎ
(প্রসবকালীন সময়
১৪২-১৫৮ দিন)
গর্ভকালীন সময়ে ছাগীকে বেশি করে দানাদার খাবার দিন এবং বিশেষ
যত্ন নিন
পাঠার
পরিচর্যা
একটি পাঠা সাধারণত ১০ মাস থেকে ৩ বছর পর্যন্ত প্রজননক্ষম
থাকে
পাঠাকে প্রতিদিন ২০ গ্রাম গাজানো ছোলা খাওয়ান
পাঠাকে কম দানাদার খাবার দিন; ৩০ কেজি ওজনের পাঠা হলে তাকে দিনে
৪০০-৫০০ গ্রামের
বেশি দানাদার খাবার দেয়া যাবে না
দশটি ছাগীর জন্য একটি পাঠাই যথেষ্ট