স্থান নির্বাচন
খামার হতে হবে অন্য খামার, রাস্তা বা লোকালয় হতে নিরাপদ
দূরত্বে খোলামেলা উচু স্থানে যেখানে পর্যাপ্ত আলো বাতাস
আছে
তবে পরিবহনসহ নিজস্ব খামারে যাতায়াতের রাস্তা থাকতে হবে
আশেপাশে ১০০ মিটারের মধ্যে কোনো জলাশয়, পুকুর যেখানে হাঁস চড়ে
বা অন্য কোন পচা ডোবা-নালা বা নর্দমা থাকা যাবে না
খামারের আধা কি:মি: এর মধ্যে কোন মুরগির বাজার বা হাঁস-মুরগি
প্রক্রিয়াকরণের স্থান থাকা যাবে না
খামারে বিশুদ্ধ পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের এবং খামার থেকে
বিষ্ঠা ও লিটার অপসারনের সুব্যবস্থা থাকতে হবে
খামারের কাঠামো নির্মাণ
মাংস উৎপাদনের জন্য বানিজ্যিক মুরগির খামার দুইভাবে নির্মাণ করা
যেতে পারে
ডিম উৎপাদনের জন্য খাচা পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো। তবে মাঁচা বা মেঝে
পদ্ধতিও অণুসরণ করা যাবে।
মাঁচা পদ্ধতি
মুরগির ঘর হবে পূর্ব-পশ্চিম দিকে
প্রতিটি মুরগির জন্য ১ বর্গফুট জায়গা ধরে ঘর নির্মাণ করতে
হবে
ঘরের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হবে ৪:১ অনুপাতে অর্থাৎ প্রতি ৪ ফুট
দৈর্ঘ্যর জন্য প্রস্থ হবে ১ ফুট
এভাবে ১০০ মুরগির জন্য নির্মিত ঘরের দৈর্ঘ্য হবে ২০ ফুট ও
প্রস্থ হবে ৫ ফুট (১০০ বর্গফুট), আবার ১০০০ মুরগির জন্য
দৈর্ঘ্য হবে ৬০ ফুট ও প্রস্থ হবে ১৫ ফুট
মাটি থেকে মাঁচার উচ্চতা হবে ৩-৪ ফুট এবং মাঁচা থেকে চালার
উচ্চতা হবে ৫ ফুট
বাঁশ বা কাঠ দিয়ে তৈরি মাঁচায় পাশাপাশি বিছানো বাঁশ বা কাঠের
মাঝে এক ইঞ্চির চেয়ে কম পরিমান ফাকা রাখতে হবে
ঘরের বেড়া বাঁশের বাতা, চটা বা তারজালি (১*১ বর্গইঞ্চির চেয়ে
কম ফাকা) দিয়ে তৈরি করা যাবে
দেয়ালের উচ্চতার ৬০ % অর্থাৎ ৩ ফুট পরিমান তারজালি বা ফাকা
ফাকা বেড়ার হয়
শীতের দিনে চটের বস্তা দিয়ে এই অংশ ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থা
রাখতে হবে
ঘরের চালা বাঁশের চাটাই, ছন, গোলপাতা, টিন বা পলিথিন দিয়ে
তৈরি করা যেতে পারে, তবে চালার নিচে তাপ নিরোধক রাখতে
হবে
মাঁচা পদ্ধতি
মাঁচা পদ্ধতি
মাঁচা পদ্ধতি
মেঝে পদ্ধতি
এ পদ্ধতিতে মাঁচা তৈরি না করে ঘরের মেঝে পাকা করে বা শক্ত
কিছু বিছিয়ে ঘর নির্মাণ করতে হয়
ঘরের মেঝেতে তুষ, কাঠের গুড়া বা ছাই ৩-৮ ইঞ্চি পুরু করে
বিছিয়ে দিতে হয়
মেঝেতে ব্যবহৃত লিটার অর্থাৎ তুষ, কাঠের গুড়া বা ছাই অবশ্যই
জীবানুমুক্ত হতে হবে
জীবানুমুক্ত করতে লিটারকে ফরমলিন মিশ্রণ (৯ লিটার পানি ও ১
লিটার ফরমালিন) দ্বারা স্প্রে করে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে ২-৩ দিন
রেখে দিতে হবে
২-৩ দিন পর উক্ত লিটার বের করে খোলা বাতাসে ভালভাবে নাড়াচাড়া
করে সব গ্যাস বের করে দিয়ে ব্যবহার করতে হবে
প্রতি সপ্তাহে ১-২ বার তুঁত মিশ্রিত পানি লিটারের উপর স্প্রে
করা যেতে পারে
প্রতি ১০ বর্গফুট জাযগার জন্য ৫ কেজি লিটার দিতে হয়ে
অন্যান্য সকল আয়োজন মাঁচা পদ্ধতির মতোই হবে
মেঝে পদ্ধতি
মেঝে পদ্ধতি
মেঝে পদ্ধতি
* খাচা পদ্ধতি
এ পদ্ধতিতে ঘরের দৈর্ঘ্যের সাথে মানানসই বিভিন্ন মাপের খাচা
ক্রয় বা তৈরি করে তাতে মুরগি পালন করা হয়
খাচার ভিতর প্রতিটি মুরগিকে ৬০-৭০ বর্গইঞ্চি পরিমান আলাদা
আলাদা কেইজে রাখা হয়
খাচা লম্বালম্বি বা সারিবদ্ধভাবে তৈরি করা যায়। এক সারির উপর
আরেক সারি এভাবে কয়েক সারি বা তালা তৈরি করা যায় অথবা মাঝে
কাঠামো রেখে দুইপাশে সিড়ির মতো করে খাচা তৈরি করা যায়
খাচা গুলো ঢালসহ তৈরি করতে হয় যেনো মুরগি ডিম পারলে তা খাচার
সামনে চলে আসে
খাদ্য ও পানি সরবরাহের জন্য খাচার সামনে টিউব ফিডার ও নিপল
ড্রিংকার দিতে হবে
খাচা পদ্ধতি
খাচা পদ্ধতি
খাচা পদ্ধতি
বিঃদ্রঃ
মেঝে পদ্ধতিতে মুরগি সহজেই রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি
থাকেে।
লিটার সর্বদা শুষ্ক ও পরিস্কার রাখতে হবে, কোন অবস্থাতেই পুরাতন,
ভেজা বা জমাটবাধা লিটার ব্যবহার করা যাবে না।
কোন জীবানুঘটিত রোগ দেখা দিলে সম্পূর্ণ লিটার পাল্টে দিতে হবে।
পাশাপাশি দুইটি ঘর থাকলে দুই ঘরের মাঝখানে ২৫-৩০ ফুট ফাকা জায়গা
রাখতে হবে।