বাচ্চা প্রসব করার ৬০ দিন পূর্বে গাভীর দুধ দোহন করা বন্ধ করতে
হবে
বাচ্চা প্রসবের দুই সপ্তাহ (কমপক্ষে ৮-১০ দিন) পূর্বে গর্ভবতী গাভীকে
আলাদা
ঘরে স্থানান্তর করতে হবে
বাচ্চা প্রসবের ঘর অবশ্যই পরিস্কার ও জীবানুমুক্ত হতে হবে। মেঝেতে
পানি শুষে
নেয় এমন কার্পেট বা খড় বিছিয়ে দিতে হবে
এই সময় “মিল্ক ফিভার” হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে বাচ্চা প্রসবের এক
সপ্তাহ
পূর্ব হতে খাবারের মধ্যে ভিটামিন ডি (বোন মিল, ডিসিপি ভাল উৎস) সরবরাহ করলে এই অবস্থা হতে
পরিত্রান পাওয়া
সম্ভব
প্রসবের পূর্বে যেসব লক্ষণ দেখা যায়ঃ অস্থিরতা, ওলান ফুলে বড় হয়ে
যাওয়া,
যোনিমুখ ফুলে বড় হয়ে যাওয়া, যোনিমুখ দিয়ে ঘন শ্লেষ্মা (মিউকাস) বের হওয়া
বাচ্চা জন্ম দেয়ার পূর্বের ৩ মাস প্রতিদিন গাভীকে মূল খাবারের সাথে
১-২ কেজি
অতিরিক্ত দানাদার খাদ্য খাওয়াতে হবে
প্রসবকালীন
সময়ে
প্রসবের সময় গাভীকে বিরক্ত করা যাবে না এবং নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায়
রেখে
পর্য়বেক্ষণ করতে হবে
সাধারণত প্রথম প্রসবের সময় বাচ্চা প্রসব করতে ৪-৫ ঘন্টা ও পরবর্তী
প্রসবের সময়
২-৩ ঘন্টা সময় লাগে
বাচ্চা প্রসবের পর সাধারণত ১-২ ঘন্টার মধ্যেই গাভী খেতে চায়। এসময়
গাভীকে
হালকা
গরম পানি ও কিছু কুড়া-ভূষি খেতে দেয়া উচিৎ
বাচ্চা প্রসবের ২-৬ ঘন্টার মধ্যে অমরা/গর্ভফুল পড়ে যায়। যদি ১২ ঘন্টার
মধ্যে
না পড়ে তবে এটি একটি সমস্যা
বাচ্চা প্রসবের সময় এবং প্রসবের পরবর্তী সময়ে কোন অস্বাভাবিক কিছু
(যেমন:
বাচ্চা ঠিকভাবে বের না হলে; স্বাভাবিক প্রসবে মাথা ও দুই পা আগে বের হয়, যথাসময়ে গর্ভফুল না
পড়লে)
পরিলক্ষিত হলে সাথে সাথে ভেটেরিনারিয়ান সাহায্য নিতে হবে
স্বাস্থ্যবতী গাভীকে বাচ্চা প্রসবের পর সাধারণত ৩-৪ দিনের মধ্যেই
অন্যান্য
গরুর সাথে আগের মতো একই ঘরে রেখে পালন করা যাবে
বাছুর
বাচ্চার নাভীর নালী ২ ইঞ্চি পরিমান রেখে জীবানুমুক্ত সুতা দিয়ে বেধে
বাকি অংশ
কেটে দিতে হবে। কাটা অংশ ৭% টিংচার আয়োডিন দিয়ে সম্পুর্ণরুপে ভিজিয়ে দিতে হবে এবং ১২ ঘন্টা পর
পুনরায়
ভেজাতে হবে
বাচ্চা জন্ম নেয়ার ১৫-৩০ মিনিটের মধ্যে কোলস্ট্রাম (শালদুধ) খাওয়াতে
হবে এবং
দ্বিতীয়বার ১০-১২ ঘন্টার মধ্যে পুনরায় শালদুধ খাওয়াতে হবে
বাচ্চা জন্ম নেওয়ার ১ম দিন বাছুরের শরীরের ওজনের ৫-৮ % এবং ২য় ও ৩য়
দিন
বাছুরের শরীরের ওজনের ১০ % শালদুধ খাওয়াতে হবে
বাছুরকে ১০-১৫ দিন পর কৃমিনাশক দিতে হবে। পরবর্তীতে টিকা দেওয়ার
নির্দেশনা
অনুযায়ী অন্যান্য সকল টিকা দিতে হবে
বাছুরকে পরিস্কার, শুষ্ক ও জীবানুমুক্ত স্থানে রাখতে হবে, পর্যাপ্ত
খাদ্য
সরবরাহ করতে হবে এবং বাছুরের ঘরে সর্বদা পরিস্কার পানি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে