খামারগুরু

  • গাভী নির্বাচন
  • গাভী পরিচিতি
  • গরু ও বাছুরের ঘর নির্মাণ
  • ওজন ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে ওজন নির্ণয়
  • মিল (খাবার) ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে যথাযথ খাবার নির্ণয়
  • রেশন ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে উপযুক্ত খাদ্য তৈরি
  • প্রজনন
  • প্রজনন ব্যবস্থাপনার নির্দেশিকা
  • পরিচর্যা
  • খাদ্য সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনা
  • দুধ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ
  • পাস্তুরাইজেশন ক্যালকুলেটর
  • রোগ প্রতিরোধে করণীয়

Rigg Technology © All rights reserved

  • মহিষ
  • গরু
  • দুগ্ধ খামার
  • ছাগল
  • মুরগি
খাদ্য সরবরাহের প্রক্রিয়া
হিসাব অনুযায়ী প্রতিটি প্রাণীর জন্য প্রাপ্য দানাদার ও আঁশ জাতীয় খাবার সমান দুটি অংশে ভাগ করুন
প্রত্যহ সকাল ও দুপুরে পৃথকভাবে সরবরাহ করুন
প্রত্যহ সকালে: দানাদার → পানি → ঘাস/ সাইলেজ/ ইউএমএস বা উভয়ই
প্রত্যহ বিকালে: দানাদার → পানি → ঘাস/ সাইলেজ/ ইউএমএস বা উভয়ই
সহজ ভাষায় যদি কোন​ প্রাণী ৩ কেজি দানাদার ও ৩০ কেজি ঘাস পাবার যোগ্য হয় তবে তাকে সকালে ১.৫ কেজি দানাদার ও ১৫ কেজি ঘাস এবং বিকালে অনুরুপভাবে সরবরাহ করুন
দানাদার খাবার খাওয়ানোর পর পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করুন, এছাড়া সর্বদা পান করার পানির সুব্যবস্থা রাখুন
খাদ্য সরবরাহ হালনাগাদ
প্রতি ১০/১৫ দিন অন্তর প্রত্যেকটি প্রাণীর ওজন নিন
যখন যে ওজন পাবেন সে ওজন অনুযায়ী খাদ্য প্রাপ্তির পরিমান হিসাব করুন এবং তদানুযায়ী খাদ্য সরবরাহ করুন
প্রাণী যদি তাকে দেয়া সব খাবার খেয়ে ফেলে তবে তাকে অতিরিক্ত যথেষ্ট পরিমান আঁশজাতীয় খাবার সরবরাহ করুন
খাদ্য ব্যবস্থাপনা
বাচ্চা জন্মের ১-৪ দিন পযন্ত বাছুরকে শুধুমাত্র শালদুধ খাওয়াতে হবে
পরবর্তীতে ৪-৬ সপ্তাহ পযন্ত বাছুরকে দুধের পাশাপাশি সামান্য পরিমানে দানাদার ও আঁশজাতীয় খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে
জন্মের ৬ সপ্তাহের পর থেকে আস্তে আস্তে দুধের পরিমান কমাতে হবে এবং দানাদার ও আঁশজাতীয় খাবার খাওয়ানোর পরিমান বাড়াতে হবে
বাছুরের বয়স ১০-১২ সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণরুপে দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দিতে হবে
বাচ্চার জন্মের ৪ দিন পর হতে দুধের পরিবর্তে মিল্ক রিপ্লেসার খাওয়ানো যাবে
প্রাণীর দৈহিক ওজন ও দুধ উৎপাদনের ভিত্তিতে মিল ক্যালকুলেটরে প্রদর্শিত খাদ্যের পরিমাণ অনুযায়ী প্রত্যহ খাবার সরবরাহ করতে হবে
মিল ক্যালকুলেটরে যে পরিমাণ দানাদার ও আঁশজাতীয় খাবার প্রদর্শিত হবে তার অর্ধেক সকালে ও অর্ধেক বিকালে প্রাণীকে সরবরাহ করতে হবে
প্রতিবার দানাদার খাবার খাওয়ানোর পর অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমান পানি খাওয়াতে হবে
প্রাণী যদি প্রদেয় আঁশজাতীয় খাবার (ঘাস/ইউএমএস/সাইলেজ) সম্পূর্ণ খেয়ে ফেলে তবে তাকে অতিরিক্ত আঁশজাতীয় খাবার সরবরাহ করতে হবে

মিল্ক রিপ্লেসার তৈরি পদ্ধতি
এক লিটার মিল্ক রিপ্লেসার বানাতে প্রয়োজন হবে
গুড়া দুধ ৭০ গ্রাম
চাল/গম/ভুট্টার গুড়া (পাউডার) ২০ গ্রাম
সয়াবিন তেল ০৭ মিলি লিটার
লবন ১ গ্রাম
ডিসিপি ১.৫ গ্রাম
ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স ০.৫ গ্রাম
মোট= এক (১) কেজি/ ১০০০ গ্রাম মিল্ক রিপ্লেসার

বাছুরের খাওয়ার উপযোগী করার জন্য; ১০০ মিলি লিটার তৈরি মিল্ক রিপ্লেসার ৯০০ মিলি লিটার পানির (১০০ গ্রাম মিল্ক রিপ্লেসার + ৯০০ মি:লি: পানি= ১ লিটার) সাথে মিশিয়ে (অনুপাত ১:৯) কমপক্ষে পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে, তারপর ঠান্ডা করে (কুসুম কুসুম গরম; তাপমাত্রা ৪০° সেঃ) বাছুরকে খাওয়াতে হবে।