গরু
প্রজননের ক্ষেত্রে সবসময় ভালো ষাড়ের সাথে ভালো গাভীর প্রজনন করা
উত্তম
প্রজননের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। তবে ভাই-বোন, মা-ছেলে বা বাবা-মেয়ের
মধ্যে
প্রজনন না ঘটানোই উত্তম
রেড চিটাগাং গাভী সাধারণত ১.৫ থেকে ২ বছর বয়সে এবং পাবনার দুধালো
গাভী,
মুন্সিগঞ্জের সাদা গাভী ও উত্তর বঙ্গের ধূসর গাভী সাধারণত ২.৫ থেকে ৩ বছর বয়সে প্রজননক্ষম
হয়
প্রাকৃতিক উপায়ে বা কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে প্রজনন করানো যাবে। তবে,
গরম
হওয়ার সময় সঠিক ভাবে নির্ধারন করে উপযুক্ত সময়ে পাল দিতে হবে
গরুর গরম হবার লক্ষণসমূহ হচ্ছে
যোনিপথ লাল দেখানো ও ফুলে উঠা
যোনিপথে আঠালো পদার্থ (মিউকাস) বের হওয়া
লেজ যোনিপথের একপাশে সরিয়ে রাখা
অন্য গরুকে শুকা ও চাটা, অস্থিরতা ও উচ্চস্বরে ডাকাডাকি করা
ইত্যাদি
গাভী গরম হওয়ার ৪-১২ ঘন্টার মধ্যে অবশ্যই পাল দিতে হবে। তবে গরম হবার
১০
ঘন্টা পর থেকে ১২ ঘন্টার আগে পাল দিলে গর্ভধারনের নিশ্চয়তা বেশি থাকে
গাভী বাচ্চা দেয়ার ৬০ দিন পর পযন্ত পাল দেয়া যাবে না। ৬০ দিন পর যেদিন
প্রথম
গরম হবে সেদিনই পাল দিতে হবে। গর্ভধারন না করে থাকলে যে কোন প্রাপ্তবয়স্ক গাভী প্রতি ১৮-২৪ দিন
পরপর গরম
হবে
গাভী গরম হবার সম্ভাব্য সময়কালে প্রতিদিন দিনে তিনবার অর্থাৎ সকাল,
দুপুর ও
বিকালে গাভী গরম হযেছে কিনা তা চেক করতে হবে
মহিষ
মহিষেরা সংঘবদ্ধ হয়ে চড়ে বেড়ায়। তবে পুরুষ ও মহিলারা পৃথক দলে থাকে
এবং বৃষ্টি
মৌসুমের শুরুতে তারা প্রজননের জন্য একত্রিত হয়
সাদারণত ৩০-৩৬ মাস বয়সে মহিষের যৌন পরিপক্কতা আসে
প্রজননক্ষম পুরুষ ও মহিলা মহিষ প্রজননের জন্য ১-৩ দিন একত্রে
থাকে
আবদ্ধ অবস্থায় পালিত মহিষের ক্ষেত্রে গরম হবার সম্ভাব্য সময়কালে
মহিষের প্রতি
বিশেষ নজর রাখতে হবে
বেশিরভাগ মহিষ নীরবে গরম হয় তাই গরম হবার আসল সময় বোঝা একটু
কঠিন
মহিষের গরম হবার লক্ষণসমূহ হচ্ছে
যোনিপথ লাল দেখানো ও ফুলে উঠা
যোনিপথে আঠালো পদার্থ (মিউকাস) বের হওয়া
লেজ যোনিপথের একপাশে সরিয়ে রাখা
অস্থিরতা ও উচ্চস্বরে ডাকাডাকি করা ইত্যাদি
বেশিরভাগ মহিষ দিনের “বিকাল থেকে ভোররাত”-এই সময়ে গরম হয়
গরম হবার ৮-১৮ ঘন্টার মধ্যে মহিষকে পাল দিতে হবে
বন্ধ্যাত্ব মহিষের একটি বিশেষ সমস্যা। তবে উপযুক্ত পুষ্টি ও
ব্যবস্থাপনা
নিশ্চিত করার মাধ্যমে এই সমস্যা অনেকাংশে লাঘব করা সম্ভব
ষাঁড়ের
বৈশিষ্ট্য
প্রজননের জন্য নিজ খামারে ষাড় বাছাইয়ের
ক্ষেত্রে তার মায়ের দুধ উৎপাদন বিবেচনায়
নিতে হবে
পাল দেয়ার সময় যে ষাড়ের মা বেশি দুধ দিতো
এমন ষাড় বেছে নিতে হবে
ষাঁড়ের স্বাস্থ্য সুঠাম, ত্রুটিহীন ও
রোগব্যাধী (বিশেষ করে যৌনরোগ) মুক্ত হতে
হবে
ষাঁড় নির্বাচনের সময় দেখতে হবে তার পাগুলো
বিশেষ করে পিছনের পা শক্ত ও সুগঠিত কিনা
এবং সে দ্রুত লাফাতে সক্ষম কিনা
যে ষাড়ের বীজ থেকে বাচ্চা হবে সেই বাচ্চাকে
পুনরায় ঐ ষাাড় দিয়ে পাল না দেয়াই
উত্তম
কৃত্রিম
প্রজনন
কৃত্রিম প্রজনন করতে চাইলে স্থানীয়
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা/ভেটেনারিয়ান/ বিশেষজ্ঞের
পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী করতে হবে
নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হতে বীজ সংগ্রহ করতে
হবে
বীজ (সিমেন) যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে
কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে
বীজের গুণগতমান এবং অবশ্যই বীজে বিদ্যমান
উন্নতজাতের প্রাণীর রক্তের শতকরা হার
জেনে নিয়ে বিশেষজ্ঞের নির্দেশনা সাপেক্ষে ব্যবহার করতে হবে
যত্রতত্র থেকে অজানা সিমেন দিয়ে কোনভাবেই
পাল দেয়া উচিৎ নয়